Archive for the ‘বেসিক ইলেকট্রনিক্স’ Category

লজিক গেটের সজ্ঞাঃ

লজিক গেট বিশেষ ধরণের ইলেকট্রনিক সার্কিট যার এক বা একাধিক ইনপুট থাকে ও কেলমাত্র একটি আউটপুট থাকে এবং ইনপুটসমূহের লজিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে আউটপুট প্রদান করে। লজিক গেটসমূহ লজিক হাই ‘1’ এবং লজিক লো ‘0’ এই দুটি বাইনারী লজিক নিয়ে কাজ করে।

প্রকারভেদঃ

লজিক গেটসমূহ মূলতঃ দুই ধরণের হয় যেমনঃ (১) মৌলিক গেট এবং (২) যৌগিক গেট। 

মৌলিক গেটঃ

যে লজিক গেট একক এবং যাকে বিশ্লেষণ করলে অন্য কোন গেট পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক গেট বলা হয়। উল্লেখ্য যে, মৌলিক গেটসমূহ ব্যবহার করে অন্য সকল যৌগিক গেটসমূহ তৈরী করা সম্ভব। মৌলিক গেট তিনটি। যেমনঃ

(১) অর গেট (OR Gate) 
(২) এন্ড গেট (AND Gate) 
(৩) নট গেট বা ইনভার্টার (NOT Gate)

নট গেটকে কখনো কখনো ইনভার্টার বলা হয়।

যৌগিক গেটঃ

যে গেট একক নয় এবং যাকে বিশ্লেষণ করলে এক বা একাধিক মৌলিক গেট পাওয়া যায় তাকে যৌগিক গেট বলা হয়। যেমনঃ

(১) নর গেট (NOR Gate) 
(২) ন্যান্ড গেট (NAND Gate) 
(৩) এক্স-অর গেট (X-OR Gate)
(৪) এক্স-নর গেট (X-NOR Gate)

মৌলিক গেটসমূহের বর্ণনাঃ

(১) অর গেটঃ অর গেটের আউটপুট এর ইনপুটসমূহের ‘লজিক্যাল অর’ অপারেশনের সমান অর্থাত Y=A+B। এর প্রতীক এবং ট্রুথ টেবিল বা সত্যক সারণী নিচে দেয়া হলোঃ

1

অর গেটের প্রতীক ও ট্রুথ টেবিল

(২) এন্ড গেটঃ এন্ড গেটের আউটপুট এর ইনপুটসমূহের ‘লজিক্যাল এন্ড অপারেশনের সমান অর্থাত Y=A.B। এর প্রতীক এবং ট্রুথ টেবিল বা সত্যক সারণী নিচে দেয়া হলোঃ

2

এন্ড গেটের প্রতীক ও ট্রুথ টেবিল

(৩) নট গেটঃ যে গেটের একটি মাত্র ইনপুট ও একটি আউটপুট থাকে এবং আউটপুট ইনপুটের ইনভার্টেড মানের সমান তাকে নট গেট বা ইনভার্টার (NOT Gate) বলা হয় এর আউটপুটY=Ā। এর প্রতীক এবং ট্রুথ টেবিল বা সত্যক সারণী নিচে দেয়া হলোঃ

3

নট গেটের প্রতীক ও ট্রুথ টেবিল

যৌগিক গেটসমূহের বর্ণনাঃ

(১) নর গেটঃ অর গেটের আউটপুট এর সাথে একটি নট গেট সংযুক্ত করলে একটি নর গেট পাওয়া যায়। এর আউটপুট ইনপুটসমূহের ‘লজিক্যাল নর’ অপারেশনের সমান। এর প্রতীক এবং ট্রুথ টেবিল বা সত্যক সারণী নিচে দেয়া হলোঃ

4

নর গেটের প্রতীক ও ট্রুথ টেবিল

(২) ন্যান্ড গেটঃ

এন্ড গেটের আউটপুট এর সাথে একটি নট গেট সংযুক্ত করলে একটি ন্যান্ড গেট পাওয়া যায়এর আউটপুট ইনপুটসমূহের লজিক্যাল ন্যান্ডঅপারেশনের সমানএর প্রতীক এবং ট্রুথ টেবিল বা সত্যক সারণী নিচে দেয়া হলোঃ 

5.gif

ন্যান্ড গেটের প্রতীক ও ট্রুথ টেবিল

(৩) এক্স-অর গেটঃ এক্স-অর গেটের আউটপুট এর ইনপুটসমূহের ‘লজিক্যাল এক্স-অর’ অপারেশনের সমান। এর প্রতীক এবং ট্রুথ টেবিল বা সত্যক সারণী নিচে দেয়া হলোঃ

6

এক্স-অর গেটের প্রতীক ও ট্রুথ টেবিল

(৩) এক্স-নর গেটঃ এক্স-নর গেটের আউটপুট এর ইনপুটসমূহের ‘লজিক্যাল এক্স-নর’ অপারেশনের সমান। এর প্রতীক এবং ট্রুথ টেবিল বা সত্যক সারণী নিচে দেয়া হলোঃ

7.gif

এক্স-নর গেটের প্রতীক ও ট্রুথ টেবিল

লজিক গেটসমূহের সমতূল্য বর্তনীঃ

8

বিভিন্ন গেটের সমতূল্য বর্তনী

 

ট্রুথ টেবিল কি?

কোন লজিক সার্কিটের ইনপুট এবং আউটপুটের মধ্যকার সম্পর্ক এবং লজিক্যাল অবস্থা যে টেবিলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় তাকে ট্রুথ টেবিল বা সত্যক সারণী বলা হয়।

ইউনিভার্সাল গেটঃ

যে লজিক গেটের মাধ্যমে OR, AND এবং NOT এই তিনটি মৌলিক গেট বাস্তবায়ন করা যায় তাকে ইউনিভার্সাল গেট বলা হয়। NAND এবং NOR এই দুটি ইউনিভার্সাল গেট।

ইউনিভার্সাল গেট ব্যবহার করে মৌলিক গেটসমূহ সম্পাদনঃ

NAND গেট ব্যবহার করে নিচের চিত্রে OR, AND এবং NOT এই তিনটি মৌলিক গেট বাস্তবায়ন দেখানো হলোঃ

9

NOR গেট ব্যবহার করে নিচের চিত্রে OR, AND এবং NOT এই তিনটি মৌলিক গেট বাস্তবায়ন দেখানো হলোঃ

10

মূল IC গুলো হল :

1. IC 7400 ( NAND GATE  –  UNIVERSAL GATE )

2. IC 7402 ( NOR GATE – UNIVERSAL GATE )

3. IC 7406 ( INVERTER)

4. IC 7408 ( AND GATE )

5. IC 7432 ( OR GATE )

6 .IC 7486 ( X- OR )

## IC 7432 ( OR GATE )

Digital Trainer board and IC implementation

এই IC গুলো ডিজিটাল ট্রেইনার BOARD এ Implement করতে হয়

OR GATE

> এখানে  A ও B হচ্ছে Inputs আর Y হচ্ছে  Output

OR TRUTH TABLE

এই INPUT গুলো নিতে হয় ঊপরে দেখান ছবির নিচের সুইচ (Data Switch) গুলো থেকে । আর এই IC দিয়ে যোগের কাজ করা যায় । একে ডিজিটালের ভাষায় বুলিয়ান অ্যালজাবব্রা বলে।

অর্থাৎ      Y = A+B .   এখানে INPUT  গুলো BINARY সংখ্যা দেয়া হচ্ছে । ঊল্লেখ্য  ডিজিটালের  মূল ভিত্তি হলো এই BINARY সংখ্যা  । এই সংখ্যা দিয়েই সব হিসেব করা হয় ।

Conversion Table - Decimal, Hexadecimal, Octal, Binary

7432-OR GATE pinout

IC 7432 Internal circuit diagram

এখানে Vcc হলো input voltage আর GND হল Ground. A1 , B1 হল ইনপুট আর C1 = Y = Output

যদি A= 0 B=0 তবে Y= o হবে —–

0+0=0

0+1=1

1+0=1

1+1=1

Y=0 এর অর্থ হল LED জলবে না । আর Y=1 এ LED জলবে ।

ফেসবুক এ আমি :  S@G@R

 

➡ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি

১. হাই এনার্জি ডেনসিটি।
২. উৎপাদন খরচ তুলনা মূলক কম।
প্রস্তুতকারকদের মতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সংরক্ষণ করার জন্য ৪০% চার্জ ও ১৫°সে তাপমাত্রা উত্তম।

সিমাবদ্ধতা

১. নিরাপদ মাত্রায় চার্জিং এর জন্য সুরক্ষা সার্কিট প্রয়োজন।
২.ঠান্ডা তাপমাত্রায় ব্যাটারির কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।
৩.ব্যবহার না করলেও লাইফ টাইম অল্প অল্প কমে।
৪. বিস্ফোরিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৫. যে কোন আকৃতি দেওয়ার সুযোগ কম।
৬. অপেক্ষাকৃত ভারি।
৭. ওভার হিটিং প্রব্লেম লিথিয়াম আয়নে বেশি।

➡ লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি
লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারিতে তরল ইলেক্ট্রোডের (বিদ্যুদ্বাহক/তড়িৎদ্বার) পরিবর্তে শুষ্ক ও কঠিন পলিমার ইলেক্ট্রোড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ইলেক্ট্রোড দেখতে অনেকটা প্লাস্টিক ফিল্মের মত, এটা বিদ্যুত পরিবহণ করে না কিন্তু আয়ন এক্সচেঞ্জ (বিনিময়) করে(বৈদ্যুতিক চার্জে চার্জিত একগুচ্ছ পরমাণু)। যার ফলে  হালকা, পাতলা, ফ্লেক্সিবল এবং বিভিন্ন আকৃতির ব্যাটারি তৈরি সম্ভব।

১. কোন তরল ইলেক্ট্রোড নেই, তাই ছিদ্র হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
২. বিস্ফোরিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৩. যেকোন আকৃতিতে তৈরি করা যায়।
৪. কম পুরুত্বের ব্যাটারি তৈরি করা যায়, যেমন: ৩.৬ ভোল্ট, ৪০০মিলি অ্যাম্পিয়ার/আওয়ারের ব্যাটারির পুরুত্ব ০.৫মি.মি. করা সম্ভব।
৫. সমআয়তন লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির চেয়ে ওজনে হালকা।
৬. কোন রকম ক্ষতি ছাড়াই এক বছরের অধিক সময় অব্যবহৃত অবস্থায় রেখে দেওয়া যায়।

সিমাবদ্ধতা
১. লিথিয়াম আয়নের চেয়ে লিথিয়াম পলিমারের এনার্জী ক্যাপাসিটি কম।
২. উৎপাদন খরচ তুলনা মূলক বেশি।

➡  ➡ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি এবং লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারির মধ্যে তুলনা

➡ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি

কেমিক্যাল রিএকশান: ইলেকট্রোলাইটের উপর নির্ভরশীল।
অপারেটিং তাপমাত্রা: -২০°সে. থেকে ৬০°সে.।
প্রাথমিক ভোল্টেজ: ৩.৬ এবং ৭.২।
ক্যাপাসিটি: পরিবর্তনশীল (নিকেল-ক্যাডমিয়াম ব্যাটারির চেয়ে দ্বিগুণ)।
ডিসচার্জ রেট: ফ্ল্যাট।
রিচার্জ লাইফ: ৩০০-৪০০ বার কোন ক্ষয় ছাড়াই।
চার্জিং তাপমাত্রা: ০°সে থেকে ৬০°সে।
চার্জ স্টোরেজ লাইফ: প্রতি মাসে ০.১% এর চেয়ে কম নষ্ট হয়।

➡ লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি

কেমিক্যাল রিএকশান: ইলেকট্রোলাইটের উপর নির্ভরশীল।
অপারেটিং তাপমাত্রা: নিন্ম ও উচ্চ তাপমাত্রায় তুলনা মূলক বেশি কর্মক্ষম।
প্রাথমিক ভোল্টেজ: ৩.৬ এবং ৭.২।
ক্যাপাসিটি: পরিবর্তনশীল (নিকেল-ক্যাডমিয়াম ব্যাটারির চেয়ে দ্বিগুণ)।
ডিসচার্জ রেট: ফ্ল্যাট।
রিচার্জ লাইফ: ৩০০-৪০০ বার কোন ক্ষয় ছাড়াই।
চার্জিং তাপমাত্রা: ০°সে থেকে ৬০°সে।
চার্জ স্টোরেজ লাইফ: প্রতি মাসে ০.১% এর চেয়ে কম নষ্ট হয়।

➡ শেষ কথা:

লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি হচ্ছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির একটি সংস্করণ। এর চার্জ ধারন ক্ষমতা এবং চার্জ ক্ষয় এর হার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির প্রায় সমান। এর আসল পার্থক্য হচ্ছে, এটি ওজনে হালকা, আকারে ছোট, বিভিন্ন আকৃতির এবং সামান্য বেশি দীর্ঘ জীবন সম্পন্ন।
সুতরাং ফোনের ব্যাটারি যাই হোক না কেন মন খারাপ করার কোন কারন নেই। কারণ চার্জ ধারণ ক্ষমতার দিক থেকে একই ক্যাপাসিটির লিথিয়াম আয়ন  ব্যাটারি আর লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারির মাঝে দৃশ্যত তেমন কোন পার্থক্য নেই বললেই চলে।

npn-transistor-2n3055-and-symbole

সার্কিট সিম্বল, কি ও কেনঃ

ইলেকট্রনিক্স সার্কিট ডায়াগ্রামে/স্কেমেটিকে সিম্বল (Symbol-চিহ্ন) খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। বাস্তবে পার্টস গুলো দেখতে যেমন হয় তার চেয়ে সার্কিটে এই সিম্বল গুলো একদমই আলাদা। একজন নতুন হবিস্ট কে অবশ্যই গুলোর সাথে পর্যাপ্ত পরিচয় থাকা উচিত ইলেকট্রনিক্স নিয়ে কাজ করতে গেলে আর এখন এই টপিকেই ছোট্ট আলোচনা করব।

পার্টস এর বাস্তব রূপ ও সিম্বলঃ

সার্কিটে বহুল প্রচলিত কিছু পার্টস হলো রেজিস্টার, ক্যাপাসিটর, ট্রানজিস্টার, ডায়োড, এলইডি ইত্যাদি। এছাড়াও আছে সুইচ, ব্যাটারি বা বিভিন্ন রকম পাওয়ার সোরস, ট্রান্সফরমার, আইসি, ফিউজ, সেন্সর, লজিক গেট ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে এ গুলো যেমন দেখতে হয় সার্কিট স্কিমেটিকে কিন্তু দেখতে তেমন নয়। তাহলে এই ভিন্নতা কেন?

ধরুন আপনি একটা ট্রানজিস্টার নিয়ে কাজ করছেন যেটা NPN type (উদাহরণঃ BC547, C828, D400, D882, D880, BD135/139 ইত্যাদি) এখন যদি প্রতি ট্রানজিস্টার কে এমন আলাদা আলাদা করে সিম্বল/চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ না করে বাস্তব ভাবে দেখানো হয় তারফলে স্কিমেটিক যেমন বিশাল বড় আর জটিলতা পূর্ণ হবে তেমনি বুঝতেও অনেক অসুবিধা হবে। একই কথা রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর বা অন্যান্য পার্টস এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মানের ভিন্নতানুসারে আকার ও পাল্টায়।
নিচের চিত্রে বিভিন্ন ট্রানজিস্টার এর সত্যিকার রূপ আর তার স্কিমেটিক সিম্বল দেখতে পাবেন-

npn-transistor-2n3055-and-symbole-300x131

NPN transistor (2n3055) এর বাস্তব রূপ ও সিম্বল

PNP transistor (BD136) এর বাস্তব রূপ ও সিম্বল

PNP transistor (BD136) এর বাস্তব রূপ ও সিম্বল

একই কথা রেজিস্টরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মানের ভিন্নতা অনুযায়ী আকার পাল্টায় কিন্তু চিহ্ন একই থাকে। নিচের চিত্রটি দেখুন-

resistor-sample-300x224

resistor-symbol-american

তাই স্কিমেটিকে এগুলোকে সিম্বল/চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়। সহজ ভাবে বললে সার্কিট এ ব্যবহার করা পার্টস এর কাল্পনিক রূপ হচ্ছে এটি। এ দিয়ে প্রকাশকরে সার্কিট ডায়াগ্রাম কে সহজবোধ্য করা হয়।
তাহলে নিশয়ই বুঝতে পারছেন ল গুরুত্ব কত!

কিছু কমন সিম্বল

সচরচার যে পার্টসগুলো লাগে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে রেজিস্টর, ট্রানজিস্টার, ক্যাপাসিটর, এলইডি প্রভৃতি।

এলইডি - বাস্তব চিত্র ও সিম্বল

Polarized ও Non-Polarized ক্যাপাসিটর ও সিম্বল

কিছু পার্টস আছে, যেগুলো বাস্তবে দেখতে একই রকম, কিন্তু চিহ্ন আলাদা। যেমন NPN ও PNP ট্রানজিস্টর

NPN ও PNP ট্রানজিস্টারের বাস্তব রূপ ও সিম্বল

কিছু সিম্বল ও তার উৎস, কারা এ গুলো নিয়ন্ত্রণ করে খুব পপুলার কিছু নিচের উইকিপেডিয়া লিঙ্কে পাবেন-
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Electronic_symbol

ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন পার্টস এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন সিম্বলই আছে যা উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না। আর নিত্য নতুন বিভিন্ন পার্টস, সেনসর ইত্যাদি আবিষ্কার হচ্ছে আর তার লিস্ট ও ক্রমান্বয়ে বড় হচ্ছে। তবে মোটামুটি কাজ চলার মতো করে একটা বিশাল তালিকা দিচ্ছি চিত্রে। দেখলেই বুঝতে পারবেন সিম্বলের কত রকম বাহারি সমাহার রয়েছে ইলেক্ট্রনিক্স দুনিয়ায়।

Electronics-Circuit-Symbols

নিম্নে কিছু খুব কমন ও জনপ্রিয় ট্রানজিস্টার এর লেগ কনফিগারেশন দেয়া হলো।

transistor package pinout 2

transistor package pinout 3

transistor package pinout 4

transistor package pinout 1

টিপসঃ

এখন কার চাইনিজ দুই নাম্বার ভেজাল পার্টস এর যন্ত্রণায় ডাটা শিট বা গুগলে ইমেজ দিয়ে লেগ না খুঁজে মিটার দিয়ে মেপে বের করাই উত্তম পন্থা।

আপনারা যারা ইলেকট্রনিক্স পাগলা, তারা সম্ভবতই ৫৫৫ টাইমার আইসি-এর নাম শুনেছেন? ঘড়ি ও বিভিন্ন টাইমার তৈরি করতে এর বহুল ব্যবহারের কারনে নাম হয়ে গেছে ৫৫৫ টাইমার আইসি।

এর ৮ খানা পিন দেখেই একে চেনা যায়। সব ক্ষেত্রে একে ডাকা হয় NE555N নামে।

তো এই আইসি যে কেবল ঘড়ি বানাতেই লাগে তা কিন্তু নয়, যেকোনো ছোটখাটো সেন্সর ও মোটর অপারেশনে ইউজ করা হয় একে।

এখন এর পিন গুলো চিনে নিই 

খেয়াল করেছেন? ১ নম্বর পিনের উপর একটা ছোট গোল ফুটো একে বলে “নচ” (Notch) এটা দ্বারা বোঝা যায় কোনটা ১ নম্বর পিন। গোল গর্তটা দেখেছেন?

  • ১ নম্বর পিনে নিগেটিভ বা গ্রাউন্ড সাপ্লাই দিতে হবে।
  • ২ নম্বর পিনে ট্রিগার, এটা ৬ নম্বর পিনের আউটপুট নিয়ন্ত্রণ করে। এটা ১ ও ৩ নম্বর পিনের ইনপুট ভোল্টেজের পার্থক্য যাচাই করে আউটপুট হাল্কা বা গাঢ় করে।যদি পিন ২ ও পিন ৬ লো হয় তবে আউটপুট হাই হয়ে যাবে।যদি পিন ৬ হাই ও পিন ২ লো হয় তবে আউটপুট লো থাকবে।
  • ৩ নম্বর পিনে সব রকম আউটপুট কারেন্ট আসে যা মুলত পজিটিভ কারেন্ট যা প্রায় ২০০mA
  • ৪ নম্বরে পজিটিভ কারেন্ট দিলে সাথে সাথে পুরো টাইমার রিসেট হয়ে যাবে। ভেতর থেকে প্রায় ১০০K রোধ দিয়ে সংযুক্ত। চিপটিকে রিসেট করতে ০.৮ ভোল্ট লাগবে।
  • ৫ নম্বরে ভোল্টেজ কন্ট্রোল, ভেরিয়েবল রিসিস্টর দিতে হবে ভিসিসি থেকে বা পজিটিভ থেকে।
  • ৬ নম্বর পিনে থ্রেসহোল্ড।
  • ৭ নম্বর পিনে ডিসচার্জ পিন।
  • ৮ নম্বরে পজিটিভ কারেন্ট সাপ্লাই যার মান ৩ থেকে ৯ ভোল্ট।

আচ্ছা, এর ভেতরে কি আছে?

555 টাইমার চিপ হল একটি Intergrated Circuit (IC) এবং এতে সিলিকনে ঢাকা একটি ছোট্ট সার্কিট আছে।

প্রতিটি পিন যে সার্কিটে কানেক্টেড তাতে আছে ২০ টা ট্রাঞ্জিস্টর, ২ টা ডায়োড এবং ১৫ টা রিসিস্টর।

 তিনটা 5k রিসিস্টর লক্ষ করেছো? এইজন্যেই এর নাম 555

এই টাইমারের বিভিন্ন সার্কিট বানাতে যে আউটপুট পাওয়া যাবে তার একটা অনলাইন ক্যালকুলেটর আছে।

ফেসবুক এ আমি :  S@G@R

12004019_1182581961756363_5411409029844991891_n

এল ই ডি বা লাইট ইমিটিং ডায়োড। এর দুইটি পা থাকে। একটি এনোড বা পজেটিভ আরেকটি ক্যাথোড বা নেগেটিভ। নতুন অবস্থায় সাধারণত এর পজেটিভ বা এনোড পা টি অপরটি হতে বড় হয় লম্বায়। কোন কারণে পা দুটো সমান হয়ে গ্যালে বুঝবার জন্য দুটো অপশন সামনে থাকে –

এলইডির ভিতরে তাকালে দুটো অংশ দেখা যায় এবং এর নীচের দিকে থাকা অংশের সাথে যুক্ত পা টি এনোড আর অপরটি ক্যাথোড বা নেগেটিভ। আরেকটি পদ্ধতি হলো এর গায়ের মার্কিং যা অবশ্য সব এলইডিতে নাও থাকতে পারে। একদিকে সমান করা অংশ এর দিকের পা টি ক্যাথোড বা নেগেটিভ হবে ও অপর টি এনোড বা পজেটিভ হবে।

সার্কিটে লাগানোর সময় এর পজেটিভ প্রান্ত সবসময় সার্কিটের + প্রান্তের সাথে সংযোগ পাবে এবং নেগেটিভ প্রান্ত নেগেটিভ বা গ্রাউন্ডের সাথে সংযোগ দিতে হবে। উল্টো করে কানেকশন দিলে এর থেকে আমরা আলো বা কাজ পাব না। বাজারে নানান রকম সাইজ ও ডিজাইনের এলইডি পাওয়া যায়। খুব কম আলো দিতে সক্ষম এলইডি থেকে শুরু করে একেবারে চোখ ধাধানো আলো দিতে সক্ষম শক্তিশালী এলইডি এখন সহজলভ্য ইলেক্ট্রনিক্স এর দোকানগুলোতে।

আধুনিক লাইট ফিটিংস মানেই এলইডি লাইটিং। এর দ্বারা অল্প বিদ্যুত খরচে অন্যান্য প্রকার আলো প্রদানকারী লাইটের তুলনায় বেশী আলো পাওয়া যায় এবং এর আয়ু কমবেশী সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে ৫০ হাজার ঘন্টা।

ফেসবুক এ আমি :  S@G@R

1

এটি একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ। দুইটি পরিবাহী পাতের মাঝে একটি ডাই-ইলেকট্রিক অপরিবাহী পদার্থ নিয়ে এটি গঠিত। ডাই-ইলেকট্রিক এমন একটি পদার্থ যা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের প্রভাবে পোলারায়িত হতে পারে। এ পদার্থ হতে পারে কাঁচ, সিরামিক, প্লাস্টিক বা শুধুই বাতাস।
ধারক সার্কিটে বিদ্যুৎ সংরক্ষণের আধার হিসেবে কাজ করে। ক্ষেত্রবিশেষে এটা উচ্চ ও নিম্ন তরঙ্গের জন্য ছাকনি (filter)হিসেবে কাজ করে। পূর্বে একে কনডেনসার বলে ডাকা হত(এখনো ক্ষেত্রবিশেষে ডাকা হয়)। কারণ, প্রথমে বিজ্ঞানীগণ ভেবেছিলেন, ধারকে তড়িৎ একেবারে জমাট বেঁধে যায়। কিন্তু পরে জানা যায় যে, এখানে তড়িৎ জমে যায় না। শুধুমাত্র আধান সঞ্চিত হয় এবং প্রয়োজনানুযায়ী ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন ধরনের ক্যাপাসিটর সমান্তরাল পাত ধারকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধানের পৃথকীকরণ।
মাঝের ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ টি ধারকত্ব বৃদ্ধি করে

প্রকারভেদ:-

ইলেকট্রোলাইটিক ধারক (Electrolytic Capacitor)

উচ্চ ধারকত্ব-র জন্য এই ধারক সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। রেডিও-র ফিল্টার বাইপাস সার্কিটে ব্যবহৃত হলেও AC সার্কিটে ব্যবহার করা যায় না।

2

সিরামিক ধারক (Ceramic Capacitor)

এতে সিরামিক কে ডাই-ইলেক্ট্রিক হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এদের ধারকত্ব খুবই কম। মাত্র 1pF থেকে 1000pF এবং সর্বোচ্চ সহনীয় ক্ষমতা ৫০০ ভোল্ট পর্যন্ত। মূলত কাপলিং-ডিকাপলিং বাইপাস সার্কিটের এটি ব্যবহৃত হয়।

3

পরিবর্তনশীল বায়ু ধারক (Varaible Capacitor/Trimmer Capacitor)

এর মান প্রয়োজনমত বাড়ানো এবং কমানো যায়। এতে অনেকগুলো অর্ধবৃত্তাকার সমান্তরাল অ্যালুমিনিয়ামের পাত দুভাগে ভাগ করে বসান থাকে। পাতগুলোর মাঝে বায়ু ডাই-ইলেক্ট্রিক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। টিউনিং সার্কিট হিসেবে এদের ব্যবহার করা হয়।

4

ক্যাপাসিটর এর বিভিন্ন নাম্বার কোড ও তার অর্থ

ইলেকট্রক্স নিয়ে কাজ করতে গেলে ছোট বড় নানান ধরনের ক্যাপাসিটর চোখে পড়ে। ছোট মুসুর দানার মত দেখতে যেমন আছে তেমন ঢাউস আকারের ব্যাটারির মত বড় ক্যাপাসিটর ও দেখতে পাওয়া যায়। এ নিয়ে ছোট্ট মজার অভিজ্ঞতা বলতে পারি। ৯০ সালের দিকে ছোট পিএফ ক্যাপাসিটর কিনতে গেছি মারকেটে। ট্রান্সমিটার বানানোর জন্য এই এটি দরকার ছিল। তো দোকানি কে বল্লাম, ভাই ১০০ পি.এফ ক্যাপাসিটর দিন। তো দোকানি আমার দিকে হাঁ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বিশেষ ভাবের সাথে বলল “ও জিনিস নেই”! কি আর করা আমি এই দোকান সে দোকান ঘুরে এই ক্যাপাসিটর তো আর পাই না! আমি তো হতাশ যে গেল বুঝি আমার এফ.এম. ট্রান্সমিটার বানানোর সকল প্রচেষ্টা ক্যাপাসিটর এর জন্য বিফল হয়ে!! এমতাবস্থায় এক বয়স্ক দোকানি আমার ঘর্মাক্ত কলেবর দেখে, দয়া পরবশত হয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলেন। আমার ট্রান্সমিটার বানানোর কথা শুনে মুচকি হেসে বের করে দিলেন আমার কাঙ্ক্ষিত সেই ক্যাপাসিটর আর প্রত্যুত্তরে যা বললেন তা শুনে আমি নির্বাক! এগুলোকে নাকি “মুশুর দানা পি.এফ বলে আবার ক্ষেত্র বিশেষে ‘ডাইল পি.এফ ও বলা হয়’ ” (কারন মুশুর ডালের দানার মতো দেখতে কিনা)! আর সরাসরি ১০০ পিএফ বললে অনেক দোকানি চেনে না, কোড আকারে বলা লাগে যেমন ১০০ পি.এফ এর কোড 101… আবার ভোল্ট, টেম্পারেচার, টলারেন্স ইত্যাদি কোড আকারে দেয়া থাকে… (নিচের চিত্রে বিস্তারিত বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে) তাহলে বুঝতেই পারছেন ক্যাপাসিটর এর জন্য কোড কত গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার! বিশেষ করে ছোট ক্যাপাসিটর তো কোড ছাড়া বোঝাই যায় না! কিন্তু আমরা সবাই কি জানি এই ক্যাপাসিটর এর গায়ে লেখা বিভিন্ন কোডের কি অর্থ হয়? যেমন J, K কিংবা 104 এর মানেই বা কি? আসুন ছবি দেখে বুঝে নেই কোন কোডের

11

 

ফেসবুক এ আমি :  S@G@R