আপনারা যারা ইলেকট্রনিক্স পাগলা, তারা সম্ভবতই ৫৫৫ টাইমার আইসি-এর নাম শুনেছেন? ঘড়ি ও বিভিন্ন টাইমার তৈরি করতে এর বহুল ব্যবহারের কারনে নাম হয়ে গেছে ৫৫৫ টাইমার আইসি।

এর ৮ খানা পিন দেখেই একে চেনা যায়। সব ক্ষেত্রে একে ডাকা হয় NE555N নামে।

তো এই আইসি যে কেবল ঘড়ি বানাতেই লাগে তা কিন্তু নয়, যেকোনো ছোটখাটো সেন্সর ও মোটর অপারেশনে ইউজ করা হয় একে।

এখন এর পিন গুলো চিনে নিই 

খেয়াল করেছেন? ১ নম্বর পিনের উপর একটা ছোট গোল ফুটো একে বলে “নচ” (Notch) এটা দ্বারা বোঝা যায় কোনটা ১ নম্বর পিন। গোল গর্তটা দেখেছেন?

  • ১ নম্বর পিনে নিগেটিভ বা গ্রাউন্ড সাপ্লাই দিতে হবে।
  • ২ নম্বর পিনে ট্রিগার, এটা ৬ নম্বর পিনের আউটপুট নিয়ন্ত্রণ করে। এটা ১ ও ৩ নম্বর পিনের ইনপুট ভোল্টেজের পার্থক্য যাচাই করে আউটপুট হাল্কা বা গাঢ় করে।যদি পিন ২ ও পিন ৬ লো হয় তবে আউটপুট হাই হয়ে যাবে।যদি পিন ৬ হাই ও পিন ২ লো হয় তবে আউটপুট লো থাকবে।
  • ৩ নম্বর পিনে সব রকম আউটপুট কারেন্ট আসে যা মুলত পজিটিভ কারেন্ট যা প্রায় ২০০mA
  • ৪ নম্বরে পজিটিভ কারেন্ট দিলে সাথে সাথে পুরো টাইমার রিসেট হয়ে যাবে। ভেতর থেকে প্রায় ১০০K রোধ দিয়ে সংযুক্ত। চিপটিকে রিসেট করতে ০.৮ ভোল্ট লাগবে।
  • ৫ নম্বরে ভোল্টেজ কন্ট্রোল, ভেরিয়েবল রিসিস্টর দিতে হবে ভিসিসি থেকে বা পজিটিভ থেকে।
  • ৬ নম্বর পিনে থ্রেসহোল্ড।
  • ৭ নম্বর পিনে ডিসচার্জ পিন।
  • ৮ নম্বরে পজিটিভ কারেন্ট সাপ্লাই যার মান ৩ থেকে ৯ ভোল্ট।

আচ্ছা, এর ভেতরে কি আছে?

555 টাইমার চিপ হল একটি Intergrated Circuit (IC) এবং এতে সিলিকনে ঢাকা একটি ছোট্ট সার্কিট আছে।

প্রতিটি পিন যে সার্কিটে কানেক্টেড তাতে আছে ২০ টা ট্রাঞ্জিস্টর, ২ টা ডায়োড এবং ১৫ টা রিসিস্টর।

 তিনটা 5k রিসিস্টর লক্ষ করেছো? এইজন্যেই এর নাম 555

এই টাইমারের বিভিন্ন সার্কিট বানাতে যে আউটপুট পাওয়া যাবে তার একটা অনলাইন ক্যালকুলেটর আছে।

ফেসবুক এ আমি :  S@G@R

Leave a comment