Archive for October, 2015

1

এটি একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ। দুইটি পরিবাহী পাতের মাঝে একটি ডাই-ইলেকট্রিক অপরিবাহী পদার্থ নিয়ে এটি গঠিত। ডাই-ইলেকট্রিক এমন একটি পদার্থ যা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের প্রভাবে পোলারায়িত হতে পারে। এ পদার্থ হতে পারে কাঁচ, সিরামিক, প্লাস্টিক বা শুধুই বাতাস।
ধারক সার্কিটে বিদ্যুৎ সংরক্ষণের আধার হিসেবে কাজ করে। ক্ষেত্রবিশেষে এটা উচ্চ ও নিম্ন তরঙ্গের জন্য ছাকনি (filter)হিসেবে কাজ করে। পূর্বে একে কনডেনসার বলে ডাকা হত(এখনো ক্ষেত্রবিশেষে ডাকা হয়)। কারণ, প্রথমে বিজ্ঞানীগণ ভেবেছিলেন, ধারকে তড়িৎ একেবারে জমাট বেঁধে যায়। কিন্তু পরে জানা যায় যে, এখানে তড়িৎ জমে যায় না। শুধুমাত্র আধান সঞ্চিত হয় এবং প্রয়োজনানুযায়ী ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন ধরনের ক্যাপাসিটর সমান্তরাল পাত ধারকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধানের পৃথকীকরণ।
মাঝের ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ টি ধারকত্ব বৃদ্ধি করে

প্রকারভেদ:-

ইলেকট্রোলাইটিক ধারক (Electrolytic Capacitor)

উচ্চ ধারকত্ব-র জন্য এই ধারক সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। রেডিও-র ফিল্টার বাইপাস সার্কিটে ব্যবহৃত হলেও AC সার্কিটে ব্যবহার করা যায় না।

2

সিরামিক ধারক (Ceramic Capacitor)

এতে সিরামিক কে ডাই-ইলেক্ট্রিক হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এদের ধারকত্ব খুবই কম। মাত্র 1pF থেকে 1000pF এবং সর্বোচ্চ সহনীয় ক্ষমতা ৫০০ ভোল্ট পর্যন্ত। মূলত কাপলিং-ডিকাপলিং বাইপাস সার্কিটের এটি ব্যবহৃত হয়।

3

পরিবর্তনশীল বায়ু ধারক (Varaible Capacitor/Trimmer Capacitor)

এর মান প্রয়োজনমত বাড়ানো এবং কমানো যায়। এতে অনেকগুলো অর্ধবৃত্তাকার সমান্তরাল অ্যালুমিনিয়ামের পাত দুভাগে ভাগ করে বসান থাকে। পাতগুলোর মাঝে বায়ু ডাই-ইলেক্ট্রিক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। টিউনিং সার্কিট হিসেবে এদের ব্যবহার করা হয়।

4

ক্যাপাসিটর এর বিভিন্ন নাম্বার কোড ও তার অর্থ

ইলেকট্রক্স নিয়ে কাজ করতে গেলে ছোট বড় নানান ধরনের ক্যাপাসিটর চোখে পড়ে। ছোট মুসুর দানার মত দেখতে যেমন আছে তেমন ঢাউস আকারের ব্যাটারির মত বড় ক্যাপাসিটর ও দেখতে পাওয়া যায়। এ নিয়ে ছোট্ট মজার অভিজ্ঞতা বলতে পারি। ৯০ সালের দিকে ছোট পিএফ ক্যাপাসিটর কিনতে গেছি মারকেটে। ট্রান্সমিটার বানানোর জন্য এই এটি দরকার ছিল। তো দোকানি কে বল্লাম, ভাই ১০০ পি.এফ ক্যাপাসিটর দিন। তো দোকানি আমার দিকে হাঁ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বিশেষ ভাবের সাথে বলল “ও জিনিস নেই”! কি আর করা আমি এই দোকান সে দোকান ঘুরে এই ক্যাপাসিটর তো আর পাই না! আমি তো হতাশ যে গেল বুঝি আমার এফ.এম. ট্রান্সমিটার বানানোর সকল প্রচেষ্টা ক্যাপাসিটর এর জন্য বিফল হয়ে!! এমতাবস্থায় এক বয়স্ক দোকানি আমার ঘর্মাক্ত কলেবর দেখে, দয়া পরবশত হয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলেন। আমার ট্রান্সমিটার বানানোর কথা শুনে মুচকি হেসে বের করে দিলেন আমার কাঙ্ক্ষিত সেই ক্যাপাসিটর আর প্রত্যুত্তরে যা বললেন তা শুনে আমি নির্বাক! এগুলোকে নাকি “মুশুর দানা পি.এফ বলে আবার ক্ষেত্র বিশেষে ‘ডাইল পি.এফ ও বলা হয়’ ” (কারন মুশুর ডালের দানার মতো দেখতে কিনা)! আর সরাসরি ১০০ পিএফ বললে অনেক দোকানি চেনে না, কোড আকারে বলা লাগে যেমন ১০০ পি.এফ এর কোড 101… আবার ভোল্ট, টেম্পারেচার, টলারেন্স ইত্যাদি কোড আকারে দেয়া থাকে… (নিচের চিত্রে বিস্তারিত বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে) তাহলে বুঝতেই পারছেন ক্যাপাসিটর এর জন্য কোড কত গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার! বিশেষ করে ছোট ক্যাপাসিটর তো কোড ছাড়া বোঝাই যায় না! কিন্তু আমরা সবাই কি জানি এই ক্যাপাসিটর এর গায়ে লেখা বিভিন্ন কোডের কি অর্থ হয়? যেমন J, K কিংবা 104 এর মানেই বা কি? আসুন ছবি দেখে বুঝে নেই কোন কোডের

11

 

ফেসবুক এ আমি :  S@G@R