Posts Tagged ‘Electronics_component’

➡ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি

১. হাই এনার্জি ডেনসিটি।
২. উৎপাদন খরচ তুলনা মূলক কম।
প্রস্তুতকারকদের মতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সংরক্ষণ করার জন্য ৪০% চার্জ ও ১৫°সে তাপমাত্রা উত্তম।

সিমাবদ্ধতা

১. নিরাপদ মাত্রায় চার্জিং এর জন্য সুরক্ষা সার্কিট প্রয়োজন।
২.ঠান্ডা তাপমাত্রায় ব্যাটারির কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।
৩.ব্যবহার না করলেও লাইফ টাইম অল্প অল্প কমে।
৪. বিস্ফোরিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৫. যে কোন আকৃতি দেওয়ার সুযোগ কম।
৬. অপেক্ষাকৃত ভারি।
৭. ওভার হিটিং প্রব্লেম লিথিয়াম আয়নে বেশি।

➡ লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি
লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারিতে তরল ইলেক্ট্রোডের (বিদ্যুদ্বাহক/তড়িৎদ্বার) পরিবর্তে শুষ্ক ও কঠিন পলিমার ইলেক্ট্রোড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ইলেক্ট্রোড দেখতে অনেকটা প্লাস্টিক ফিল্মের মত, এটা বিদ্যুত পরিবহণ করে না কিন্তু আয়ন এক্সচেঞ্জ (বিনিময়) করে(বৈদ্যুতিক চার্জে চার্জিত একগুচ্ছ পরমাণু)। যার ফলে  হালকা, পাতলা, ফ্লেক্সিবল এবং বিভিন্ন আকৃতির ব্যাটারি তৈরি সম্ভব।

১. কোন তরল ইলেক্ট্রোড নেই, তাই ছিদ্র হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
২. বিস্ফোরিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৩. যেকোন আকৃতিতে তৈরি করা যায়।
৪. কম পুরুত্বের ব্যাটারি তৈরি করা যায়, যেমন: ৩.৬ ভোল্ট, ৪০০মিলি অ্যাম্পিয়ার/আওয়ারের ব্যাটারির পুরুত্ব ০.৫মি.মি. করা সম্ভব।
৫. সমআয়তন লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির চেয়ে ওজনে হালকা।
৬. কোন রকম ক্ষতি ছাড়াই এক বছরের অধিক সময় অব্যবহৃত অবস্থায় রেখে দেওয়া যায়।

সিমাবদ্ধতা
১. লিথিয়াম আয়নের চেয়ে লিথিয়াম পলিমারের এনার্জী ক্যাপাসিটি কম।
২. উৎপাদন খরচ তুলনা মূলক বেশি।

➡  ➡ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি এবং লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারির মধ্যে তুলনা

➡ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি

কেমিক্যাল রিএকশান: ইলেকট্রোলাইটের উপর নির্ভরশীল।
অপারেটিং তাপমাত্রা: -২০°সে. থেকে ৬০°সে.।
প্রাথমিক ভোল্টেজ: ৩.৬ এবং ৭.২।
ক্যাপাসিটি: পরিবর্তনশীল (নিকেল-ক্যাডমিয়াম ব্যাটারির চেয়ে দ্বিগুণ)।
ডিসচার্জ রেট: ফ্ল্যাট।
রিচার্জ লাইফ: ৩০০-৪০০ বার কোন ক্ষয় ছাড়াই।
চার্জিং তাপমাত্রা: ০°সে থেকে ৬০°সে।
চার্জ স্টোরেজ লাইফ: প্রতি মাসে ০.১% এর চেয়ে কম নষ্ট হয়।

➡ লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি

কেমিক্যাল রিএকশান: ইলেকট্রোলাইটের উপর নির্ভরশীল।
অপারেটিং তাপমাত্রা: নিন্ম ও উচ্চ তাপমাত্রায় তুলনা মূলক বেশি কর্মক্ষম।
প্রাথমিক ভোল্টেজ: ৩.৬ এবং ৭.২।
ক্যাপাসিটি: পরিবর্তনশীল (নিকেল-ক্যাডমিয়াম ব্যাটারির চেয়ে দ্বিগুণ)।
ডিসচার্জ রেট: ফ্ল্যাট।
রিচার্জ লাইফ: ৩০০-৪০০ বার কোন ক্ষয় ছাড়াই।
চার্জিং তাপমাত্রা: ০°সে থেকে ৬০°সে।
চার্জ স্টোরেজ লাইফ: প্রতি মাসে ০.১% এর চেয়ে কম নষ্ট হয়।

➡ শেষ কথা:

লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি হচ্ছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির একটি সংস্করণ। এর চার্জ ধারন ক্ষমতা এবং চার্জ ক্ষয় এর হার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির প্রায় সমান। এর আসল পার্থক্য হচ্ছে, এটি ওজনে হালকা, আকারে ছোট, বিভিন্ন আকৃতির এবং সামান্য বেশি দীর্ঘ জীবন সম্পন্ন।
সুতরাং ফোনের ব্যাটারি যাই হোক না কেন মন খারাপ করার কোন কারন নেই। কারণ চার্জ ধারণ ক্ষমতার দিক থেকে একই ক্যাপাসিটির লিথিয়াম আয়ন  ব্যাটারি আর লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারির মাঝে দৃশ্যত তেমন কোন পার্থক্য নেই বললেই চলে।

npn-transistor-2n3055-and-symbole

সার্কিট সিম্বল, কি ও কেনঃ

ইলেকট্রনিক্স সার্কিট ডায়াগ্রামে/স্কেমেটিকে সিম্বল (Symbol-চিহ্ন) খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। বাস্তবে পার্টস গুলো দেখতে যেমন হয় তার চেয়ে সার্কিটে এই সিম্বল গুলো একদমই আলাদা। একজন নতুন হবিস্ট কে অবশ্যই গুলোর সাথে পর্যাপ্ত পরিচয় থাকা উচিত ইলেকট্রনিক্স নিয়ে কাজ করতে গেলে আর এখন এই টপিকেই ছোট্ট আলোচনা করব।

পার্টস এর বাস্তব রূপ ও সিম্বলঃ

সার্কিটে বহুল প্রচলিত কিছু পার্টস হলো রেজিস্টার, ক্যাপাসিটর, ট্রানজিস্টার, ডায়োড, এলইডি ইত্যাদি। এছাড়াও আছে সুইচ, ব্যাটারি বা বিভিন্ন রকম পাওয়ার সোরস, ট্রান্সফরমার, আইসি, ফিউজ, সেন্সর, লজিক গেট ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে এ গুলো যেমন দেখতে হয় সার্কিট স্কিমেটিকে কিন্তু দেখতে তেমন নয়। তাহলে এই ভিন্নতা কেন?

ধরুন আপনি একটা ট্রানজিস্টার নিয়ে কাজ করছেন যেটা NPN type (উদাহরণঃ BC547, C828, D400, D882, D880, BD135/139 ইত্যাদি) এখন যদি প্রতি ট্রানজিস্টার কে এমন আলাদা আলাদা করে সিম্বল/চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ না করে বাস্তব ভাবে দেখানো হয় তারফলে স্কিমেটিক যেমন বিশাল বড় আর জটিলতা পূর্ণ হবে তেমনি বুঝতেও অনেক অসুবিধা হবে। একই কথা রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর বা অন্যান্য পার্টস এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মানের ভিন্নতানুসারে আকার ও পাল্টায়।
নিচের চিত্রে বিভিন্ন ট্রানজিস্টার এর সত্যিকার রূপ আর তার স্কিমেটিক সিম্বল দেখতে পাবেন-

npn-transistor-2n3055-and-symbole-300x131

NPN transistor (2n3055) এর বাস্তব রূপ ও সিম্বল

PNP transistor (BD136) এর বাস্তব রূপ ও সিম্বল

PNP transistor (BD136) এর বাস্তব রূপ ও সিম্বল

একই কথা রেজিস্টরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মানের ভিন্নতা অনুযায়ী আকার পাল্টায় কিন্তু চিহ্ন একই থাকে। নিচের চিত্রটি দেখুন-

resistor-sample-300x224

resistor-symbol-american

তাই স্কিমেটিকে এগুলোকে সিম্বল/চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়। সহজ ভাবে বললে সার্কিট এ ব্যবহার করা পার্টস এর কাল্পনিক রূপ হচ্ছে এটি। এ দিয়ে প্রকাশকরে সার্কিট ডায়াগ্রাম কে সহজবোধ্য করা হয়।
তাহলে নিশয়ই বুঝতে পারছেন ল গুরুত্ব কত!

কিছু কমন সিম্বল

সচরচার যে পার্টসগুলো লাগে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে রেজিস্টর, ট্রানজিস্টার, ক্যাপাসিটর, এলইডি প্রভৃতি।

এলইডি - বাস্তব চিত্র ও সিম্বল

Polarized ও Non-Polarized ক্যাপাসিটর ও সিম্বল

কিছু পার্টস আছে, যেগুলো বাস্তবে দেখতে একই রকম, কিন্তু চিহ্ন আলাদা। যেমন NPN ও PNP ট্রানজিস্টর

NPN ও PNP ট্রানজিস্টারের বাস্তব রূপ ও সিম্বল

কিছু সিম্বল ও তার উৎস, কারা এ গুলো নিয়ন্ত্রণ করে খুব পপুলার কিছু নিচের উইকিপেডিয়া লিঙ্কে পাবেন-
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Electronic_symbol

ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন পার্টস এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন সিম্বলই আছে যা উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না। আর নিত্য নতুন বিভিন্ন পার্টস, সেনসর ইত্যাদি আবিষ্কার হচ্ছে আর তার লিস্ট ও ক্রমান্বয়ে বড় হচ্ছে। তবে মোটামুটি কাজ চলার মতো করে একটা বিশাল তালিকা দিচ্ছি চিত্রে। দেখলেই বুঝতে পারবেন সিম্বলের কত রকম বাহারি সমাহার রয়েছে ইলেক্ট্রনিক্স দুনিয়ায়।

Electronics-Circuit-Symbols

নিম্নে কিছু খুব কমন ও জনপ্রিয় ট্রানজিস্টার এর লেগ কনফিগারেশন দেয়া হলো।

transistor package pinout 2

transistor package pinout 3

transistor package pinout 4

transistor package pinout 1

টিপসঃ

এখন কার চাইনিজ দুই নাম্বার ভেজাল পার্টস এর যন্ত্রণায় ডাটা শিট বা গুগলে ইমেজ দিয়ে লেগ না খুঁজে মিটার দিয়ে মেপে বের করাই উত্তম পন্থা।

12004019_1182581961756363_5411409029844991891_n

এল ই ডি বা লাইট ইমিটিং ডায়োড। এর দুইটি পা থাকে। একটি এনোড বা পজেটিভ আরেকটি ক্যাথোড বা নেগেটিভ। নতুন অবস্থায় সাধারণত এর পজেটিভ বা এনোড পা টি অপরটি হতে বড় হয় লম্বায়। কোন কারণে পা দুটো সমান হয়ে গ্যালে বুঝবার জন্য দুটো অপশন সামনে থাকে –

এলইডির ভিতরে তাকালে দুটো অংশ দেখা যায় এবং এর নীচের দিকে থাকা অংশের সাথে যুক্ত পা টি এনোড আর অপরটি ক্যাথোড বা নেগেটিভ। আরেকটি পদ্ধতি হলো এর গায়ের মার্কিং যা অবশ্য সব এলইডিতে নাও থাকতে পারে। একদিকে সমান করা অংশ এর দিকের পা টি ক্যাথোড বা নেগেটিভ হবে ও অপর টি এনোড বা পজেটিভ হবে।

সার্কিটে লাগানোর সময় এর পজেটিভ প্রান্ত সবসময় সার্কিটের + প্রান্তের সাথে সংযোগ পাবে এবং নেগেটিভ প্রান্ত নেগেটিভ বা গ্রাউন্ডের সাথে সংযোগ দিতে হবে। উল্টো করে কানেকশন দিলে এর থেকে আমরা আলো বা কাজ পাব না। বাজারে নানান রকম সাইজ ও ডিজাইনের এলইডি পাওয়া যায়। খুব কম আলো দিতে সক্ষম এলইডি থেকে শুরু করে একেবারে চোখ ধাধানো আলো দিতে সক্ষম শক্তিশালী এলইডি এখন সহজলভ্য ইলেক্ট্রনিক্স এর দোকানগুলোতে।

আধুনিক লাইট ফিটিংস মানেই এলইডি লাইটিং। এর দ্বারা অল্প বিদ্যুত খরচে অন্যান্য প্রকার আলো প্রদানকারী লাইটের তুলনায় বেশী আলো পাওয়া যায় এবং এর আয়ু কমবেশী সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে ৫০ হাজার ঘন্টা।

ফেসবুক এ আমি :  S@G@R

ldr-circuit-on-breadboard-1024x768

এই সার্কিটটির মূলে রয়েছে LDR (Light Dependent Resistor) নামক একটি রেসিষ্টর (ফটো রেসিষ্টরও বলে )। যাকে দিয়ে একটি লাইট বা ফটো সেনসিটিভ সুইচিং সার্কিট করা যায়। সাধারনত অন্ধকারে এর রোধ অনেক উচ্চ কিন্তুএই রেসিষ্টরটির উপর আলো পড়লে এর রোধ নাটকিয় ভাবে হ্রাস পেয়ে (প্রায়) পূর্ন পরিবাহির পর্যায়ে চলে আসে। এই ধর্মটিকে কাজে লাগিয়ে সুইচিং সার্কিটকে সুইচ (অন/অফ) করা হয়।
লাইট সেন্সর/ডার্ক সেন্সরঃ LDR দিয়ে দুটোই বানানো যায়, যার যেটা প্রয়োজন। শুধু কানেকশন এদিক সেদিক করে এই পরিবর্তন করা সম্ভব। তবে ডার্ক সেন্সর (অন্ধকার হলে অন হয়) বেশী জনপ্রিয়। তাই আমরা ডার্ক সেন্সরই তৈরী করব । চেষ্টা করব হিন্টস দিতে যাতে কিভাবে একে লাইট সেন্সরে পরিনত করা যায়

দ্রষ্টব্যঃ

১) বুঝতে হলে ভোল্টেজ ডিভাইডার সার্কিট সম্পর্কে ধারনা থাকা দরকার।

২) প্রজেক্টের এই LDR গুলায় আলো পড়লে রোধ কমে। বাজারে কিছু ফটো রেসিষ্টর বা ফটো ট্রাঞ্জিষ্টর থাকতে পারে যা এর উলটা কাজ করে ( আলো পড়লে রোধ বাড়ে)। তাই মাল্টি মিটারে টেষ্ট করে বা দোকানিকে দিয়ে শিউর হতে হবে যে এটিতে আলো পড়লে রোধ কমে টাইপের কি না।

এক্সপেরিমেন্টাল সার্কিট

LDR-circuit-dark-detector
ডার্ক সেন্সরঃ খুবই সিম্পল এই সার্কিটটিতে একটি LDR একটি ট্রাঞ্জিষ্টার দিয়ে তৈরী। এই সার্কিটটিতে একটা LDR একটা ভ্যারিয়েবল রেসিষ্টর মিলে ভোল্টেজ ডিভাইডার সার্কিট তৈরী করা হয়। দিনের বেলা LDR এর রোধ খুব কম থাকায় বেশী ড্রপ হয় ভ্যারিয়েবল রেসিষ্টরে ফলে ট্রাঞ্জিষ্টারের বেস বায়াস না পাওয়ায় ট্রাঞ্জিষ্টর অফ অবস্থায় থাকে ফলে সংযুক্ত লেড (LED) টি জ্বলেনা। কিন্তু রাতে LDR এর রেসিষ্ট্যান্স অত্যন্ত বেশী থাকায় ভোল্টেজ ড্রপ হয় LDR এর সাইডে ফলে বেস বায়াস পাওয়ায় ট্রাঞ্জিষ্টর অন হয়ে লেড জ্বালিয়ে দেয়।

লাইট সেন্সরঃ দুই ভাবে উপোরোক্ত সার্কিটকে লাইট সেন্সর করা যায়। ১) LDR আর ভ্যারিয়েবল রেসিষ্টর এর অবস্থায় অদল-বদল করে। ২) NPN এর যায়গায় PNP ট্রাঞ্জিষ্টার ব্যাবহার করে ৩য় ছবির মতো করে (লেডের অবস্থান লক্ষ্যনীয়)।

LDR-circuit-light detektor

LDR দিয়ে প্রাক্টক্যাল সার্কিট

আগের ডার্ক/লাইট সেন্সরটিতে দুইটা সমস্যা আছে।

প্রথম সমস্যা হলো ঐ সার্কিট দিয়ে ছোট লোড (যেগুলা অল্প কারেন্টে চলে যেমন লেড) ছাড়া আর কিছু (ফ্যান, লাইট ইত্যাদি) কন্ট্রোল করা যায়না। কারন আমরা যে ট্রাঞ্জিষ্টর ব্যাবহার করেছি তার পাওয়ার রেটিং অনেক কম। দুই ভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।

# পাওয়ার ট্রাঞ্জিষ্টর বা সুইচিং ডিভাইস ব্যাবহারঃ এই পদ্ধতিতে ডিভাইস গুলিকে হাই পাওয়ার রেটিং করতে হবে যা ব্যায়বহুল, কষ্টসাধ্য ও বিপদজনক। এই পদ্ধতি ব্যাবহার হয়না বললেই চলে।

# রিলের ব্যাবহারঃ এই পদ্ধতিতে সার্কিটটাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একসাইডে লো পাওয়ার ডিসি কন্ট্রোল সার্কিট। অন্য দিকে হাই পাওয়ার এসি/ডিসি লোড সার্কিট। এই দুই সার্কিটের মধ্যস্থতা করে একটি ছোট ডিভাইস যাকে রিলে বলে। রিলে বিভিন্ন প্রকার হয়

relay-principle2

১) ইলেক্ট্রো মেকানিকালঃ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটের দ্বারা মেকানিকাল সুইচ অন অফ করে । কম স্পিডে অন অফ করার জন্য তৈরী (সেকেন্ডে ৫০/১০০ বার বা তার কম)

relay-principle

২) সলিড স্টেটঃ কোন মেকানিকাল পার্টস নাই। সেমিকন্ডাকটার পদার্থ দিয়ে তৈরী। হাই স্পিড অন/অফ করে (সেকেন্ড হাজার বার থেকে লক্ষ্য বার বা তার বেশী)

সাধারন অন/অফের জন্য ইলেক্ট্রো মেকানিকাল রিলেই যথেষ্ঠ। আমাদের সেকেন্ডে কেবল একবার হলেউ কাজ চলে যাবে। তাই ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল রিলেই ব্যাবহার করব। বাজারে ৩, ৫, ৬, ৯, ১২, ২৪ ইত্যাদি কন্ট্রোল ভোল্টের রিলে পাওয়া যায়। ভোল্ট গুলা হলো কন্ট্রোল ভোল্টেজ। অর্থাৎ রিলেকে অন অফ করাতে কন্ট্রোল সাইডে যে সর্বনিম্ন ডিসি ভোল্টেজ দিতে হবে তা। উল্লেখিত ভোল্টেজের নিচে রিলে কাজ নাও করতে পার।

হাই লোড অংশের ভোল্টেজ ও এম্প রেটিং ও জানা দরকার। হাই লোড অংশে ডিসি না এসি ভোল্টেজ খেয়াল করতে হবে। এসি ভোল্টেজ ২৫০ হলে বাসাবাড়িল লোড (ফ্যান, লাইট ) ইত্যাদি কন্ট্রোল করা সম্ভব। হাইলোড সাইডের এম্প রেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ন। একটা রিলে দিয়ে কতগুলা যন্ত্র বা কত পাওয়ারফুল যন্ত্র নিয়ন্ত্রন করা যায় তা জানতে এম্প রেটিং জানতে হবে। একটা/দুইটা ফ্যান বা লাইট এর জন্য ৫এম্প (5A) যথেষ্ঠ। কিন্তু ৫ টা লাইট বা ফ্যানের জন্য তা যথেষ্ঠ নাও হতে পারে সেক্ষেত্রে ১০ এম্প নেয়া উচিত। আবার বাসার একটা পাম্পের জন্য ৩০ এম্প দরকার হতে পারে।

সাধারন ইলেক্ট্রো মেকানিকাল রিলেতে ৫ টার্মিনাল থাকে।

practical-relay

#দুইটা ডিসি কন্ট্রোল টার্মিনাল (+ ও -) ঃ এটা দিয়ে রিলের কয়েলে কন্ট্রোল ভোল্টেজ দেয়া হয়। উলটা পালটা হলে সমস্যা নাই যে কোন টার্মিনালে (+) বা (-) দেয়া যাবে।

তিনটা হাই লোড টার্মিনাল।

১) কমন (সুইচের গোড়া বা COM)ঃ যেটা দিয়ে সাধারনত রিলে সার্কিটে কারেন্ট ঢুকে

২) NO (Normally Off / Open): এই টার্মিনালটি কন্ট্রোল ভোল্টেজ না পেলে বন্ধ থাকে। কন্ট্রোল ভোল্টেজ পেলে চালু হয়। এটি দিয়েই মূলত আমরা অন/অফ করব।

৩) NC (Normally Connected / Closed) : এটি NO এর উলটা। অর্থাৎ কন্ট্রোল না থাকলে চালু থাকে আর কন্ট্রোল ভোল্টেজ পেলে অফ হয়। এটি সাধারন ভাবে ব্যাবহার হয়না। তবে যদি আমরা ডার্ক সেন্সর বানাতে গিয়ে ভুলে লাইট সেন্সর বানিয়ে ফেলি এটিতে কানেক্ট করলে বিকল্প পদ্ধতিতে আমাদের ভূলটা কারেকশন করা যাবে (উল্টাটাও সত্য মানে লাইট সেন্সর -> ডার্ক সেন্সর করা যাবে)

আমরা নিচের সার্কিট দিয়ে বাসার বাতি, ফ্যান অন্যান্য লোড চালাতে পারব কারন এখানে একটি রিলে ব্যাবহার করে ডিসি/এসি হাইলোডকে কন্ট্রোল করতে পারি।

* রিলের সাথে অবশ্যই প্রদর্শিত ডায়োডটি যেমন দেখানো সেভাবে লাগাতে হবে (রিভার্স/উল্টা বায়াসে, সাধারনত সার্কিটে আমরা ফরওয়ার্ড/সম্মুখ বায়াসে লাগাই কিন্তু রিলের সাথে লাগাতে হয় রিভার্স বায়াসে)।

* রিলেযুক্ত সার্কিটে হাইভোল্টেজ এসি ব্যাবহৃত হবে যা খুবই বিপদজনক। হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সম্পর্কে যাদের ধারনা কম তারা রিলে দিয়ে এসি সার্কিট বানাবে না।

এই ডায়োডটি একটি বাইপাস ডায়োড। ম্যাগনেটিক রিলে যখন অফ হয় তখন তার কয়েলে মূল প্রবাহের বিপরিত মূখি একটা কারেন্ট (ব্যাক ই এম এফ) তৈরী হয়। এটাকে সরাসরি সার্কিটি যেতে দিলে আমাদের ট্রাঞ্জিষ্টার বা সেন্সেটিভ ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে তাই ডায়োড দিয়ে একে বাইপাস করে নিস্ক্রিয় করা হয়। তাই অবশ্যই মনে রাখতে হবে ম্যাগনেটিক রিলে ব্যাবহার করলে এর কয়েলে রিভার্স বায়াসে একটি ডায়োড (যে কোন মানের) লাগাতে হবেই।

light operated relay

আমাদের এখনকার সার্কিট দিয়ে মোটামুটি কাজ চালানো গেলেও এর সংবেদনশীলতা অনেক কম। মানে প্রখর আলো বা নিকশ অন্ধকার ছাড়া এটি কাজ করতে চায়না। তাই একে সাধারন ষ্ট্রিট লাইট কন্ট্রোলে ব্যাবহার করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন ভোরে আলো ফোটার পরও বাতি বেশ অনেক্ষন জ্বলে থাকে আবার সন্ধ্যা হয়ে যাবার পরও সহজে জ্বলতে চায়না। তাই এর সংবেদনশীলতা বাড়ানো প্রয়োজন। খুব সহজ একটা মডিফিকেশনের মাধ্যমে আমরা এটি করতে পারি। পরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে আমরা দুটি ট্রাঞ্জিষ্টার ব্যাবহার করেছি। আরো একটু সংবেদনশীলতা বাড়াতে আরেকটি ট্রাঞ্জিষ্টার যুক্ত করা যায় (পরের চিত্র)। কিন্ত এর এভাবে ট্রাঞ্জিষ্টার আর বাড়াতে থাকলে সংবেদনশীলতা আর বাড়বেনা।

LDR-to-Relay-2-transLDR-to-Relay-3-trans

শুধু ট্রাঞ্জিষ্টার দিয়ে তৈরী সার্কিটের একটা সমস্যা হলো রিলে চ্যাটারিং। খুব ভোরে বা গোধুলিতে আলো যখন অল্প থাকে তখন ট্রাঞ্জিষ্টার বেসড ডার্ক সেন্সর গুলি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে, যে রিলে অন করবে না অফ করবে। এই সময় অনেকবার দ্রুত রিলে অন অফ হতে থাকে ( চ্যাটারিং মানে বাচলতা বা সোজা বাংলায় কট কট করা – রিলে সুইচিং এর সময় কট করে আওয়াজ হয় দ্রুত অন অফ হলে কট কট আওয়াজ হয় একেই রিলের চ্যাটারিং বলে)। এই চ্যাটারিং দূর করার উপায় হলো এমন এক সার্কিট যা দ্রুত সিদ্ধান্ত দিতে পারে। মাইক্রোকন্ট্রলার এক্ষেত্রে ভাল সমাধান হতে পারে। ডিজিটার এই পদ্ধতি কিন্তু তা মশা মারতে কামান দাগার মতো অবস্থা। এনালগ পদ্ধতিতে এর একটা ভাল সল্যুশন হলো অপ-এম্প বা কম্পারেটরের ব্যাবহার। অপ-এম্প (Operational Amplifier) একটি ছোট খাট এমপ্লিফাইয়ার যা দুই ইনপুটকে তুলনা করে বড় না ছোট সিদ্ধান্ত দিতে পারে। শেষের চিত্রে অপ-এম্প সার্কিট দেখানো হয়েছে। যে কনফিগারেশনে অপ-এম্পটি লাগানো তাতে তা ২ আর ৩ এর ভোল্টেজ তুলনা করে ৬ নং দিয়ে সিদ্ধান্ত (ভোল্টেজ) দেয়। ৩ নং পিনে ভোল্টেজ ২ নং এর চেয়ে বেশি হলেই কেবল ৬ নং দিয়ে আউটপুট ভোল্টেজ পাওয়া যায়। তাই দিনে LDR রেসিষ্ট্যান্স কম থাকায় প্রচুর ভোল্টেজ ২ নং পিনে যায় যা ৩ থেকে বেশী থাকায় ৬ নং পিনের আউটপুট শুন্য থাকে যা ট্রাঞ্জিষ্টরকে অফ করে রাখে। কিন্তু রাতে উলটে যায় মানে ২ নং পি্ন থেকে ৩ নং পিনে বেশী ভোল্টেজ এসে ৬ নং এ আউটপুট দেয় যা ট্রাঞ্জিষ্টারকে ড্রাইভ করে অন করে। আর ট্রাঞ্জিষ্টর রিলেকে অন করে হাইলোডকে অন করে। এই পদ্ধতিতে চ্যাটারিং থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।

dark-sensor-using-LM741

প্রশ্ন হতে পারে শুধু অপ এম্পদিয়েই তো রিলে ড্রাইভ করানো যেত। কিন্তু অপ-এম্পের কারেন্ট রেটিং অনেক কম থাকে (২৫ মি এ) ঐ কারেন্ট দিয়ে রিলের কয়েল ম্যাগনেটাইজ হয় না তাই ট্রাঞ্জিষ্টরের সাহায্য নিতেই হয়। তবে শুধু একটি মাত্র আইসদিয়েও (যা মধ্যে অপ-এম্প + রিলে ড্রাইভার বিল্ট ইন আছে) এটি বাস্তবায়ন করা যায় অত্যন্ত এফিশিয়েন্ট ভাবে। আর সেটিই আমাদের এই প্রজেক্টের চুড়ান্ত সার্কিট, যা পরবর্তি কিস্তিতে আলোচ্য।

৫৫৫ আইসি দিয়ে এফিসিয়েন্ট + প্রাক্টিক্যাল ডার্ক সেন্সর

আমার হিসাবে বেষ্ট ডার্ক সেন্সর হলো ৫৫৫ আইসি দিয়ে তৈরী। ৫৫৫ একটা মজার আইসি যাকে অনেকে টাইমার আইসিও বলে (টাইমার বানাতে বহুল ব্যাবহৃত বলে)। এটি দিয়ে অসংখ্য ও নানা ধরনের প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা যায়। এর দামও সামান্য আর সর্বত্র পাওয়াও যায়। আমরা পরবর্তি প্রজেক্ট আলোচনায় ৫৫৫ আইসির কার্য পদ্ধতি নিয়ে সবিস্তারে আলাপ করব। আমরা এই প্রজেক্টে ৫৫৫ এর শুধু প্রাসঙ্গিক দিক নিয়ে আলাপ সাড়ব।

এই প্রজেক্টের মূলে রয়েছে একটি ৫৫৫ আইসি। যার ৮ টি পা আছে। চিত্রে যে ভাবে পা গুলা সাজানো আছে বাস্তবে ওভাবে না থেকে সিরিয়ালি (১,২,৩ ইত্যাদি ২ নং চিত্র) থাকে; সরলতার খাতিরে পরের চিত্রে পা গুলি দরকার মতো দেখানো হয়েছে।

555 ic

This light activated relay circuit uses the 555 timer IC and a light dependent resistor

# R1=10k ভ্যারিয়েবল রেজিষ্টর, ট্রিগার কম বেশি করার জন্য

# R2 = সেনসিটিভিট বাড়ানোর জন্য। অপশনাল, ব্যাবহার করব না। ব্যাবহার না করায় ৭ নং পিন ডিসকানেক্টেড থাকবে।

# c1 = স্পাইক বাইপাস। সুইচিংএর সময় ৫৫৫ আইসিতে স্পাইক তৈরী হলে এটি দিয়ে বাইপাস করে। (অপশনাল বাট ব্যাবহার করার জন্য বিনিত পরামর্শ দেয়া হলো)। না ব্যাবহার করলে ৫ নং পিন ডিসকানেক্টেড থাকবে।

# ১নং পিন = গ্রাউন্ড পিন বা সাপ্লাই (-) টার্মিনাল যুক্ত হবে।

# ৮ নং পিন = Vcc বা সাপ্লাই (+) টার্মিনাল যুক্ত হবে। ৫- ১৫ ভোল্ট কানেক্ট করা যায়। তবে ৫ ভোল্টে অনেক আইসি কাজ করেনা তাই ভোল্টেজ ৯, ১২,১৫ ইত্যাদি হলে ভালো।

# ৩ নং পিন = আউটপুট পিন, যা দিয়ে রিলে ড্রাইভ করবে। এটি ২০০ মি এ কারেন্ট প্রদান বা গ্রহন করতে পারে আর (Vcc -1.5) ভোল্ট সাপ্লাই দেয়। যা কিনা রিলে বা ছোট ডিসি মটর চালানোর জন্য যথেষ্ঠ।

# ৪ নং পিন = রিসেট পিন, যাতে গ্রাউন্ড পিনের ছোয়ায়, ৫৫৫ আইসি রিসেট হয়। আমরা যেহতু কোন অবস্থায়ই রিসেট করবো না তাই এটি সব সময় Vcc যুক্ত থাকবে।

# ২ নং পিন = ট্রিগার পিন, বা সেট পিন। যাতে নির্দিষ্ট ভোল্টেজের নিচে দিলে ৫৫৫ আইসি সেট করে (পরে আলোচ্য)

# ৬ নং পিন = থ্রেশহোল্ড পিন, যাতে নির্দিষ্ট ভোল্টেজের উপর গেলে ৪ নং পিনের মতো আচরন করে অর্থাৎ আইসিকে রিসেট করে (পরে আলোচ্য)

৫৫৫ আইসিকে বহু ভাবে ব্যাবহার করা যায়, যেমন টাইমার, টগল সুইচ ইত্যাদি। বর্তমানে আমরা একে একটি কন্ট্রোলড টগল সুইচ হিসাবে ব্যাবহার করব। যাতে ২ আর ৬ নং পিন ব্যাবহার হবে; আর পিন ৩ হবে আউটপুট। বাকি পিন যেভাবে সংযুক্ত সেভাবে বেকার বসে থাকবে। ৫৫৫ আইসির টগলের মুলে সেট/রিসেট।

সেটঃ ৩ নং পিন হাই (ভোল্টেজ আছে)

রিসেটঃ ৩ নং পিন লো (ভোল্টেজ নাই)

সেট হয়ঃ ২ নং পিনের ভোল্টেজ যদি 1/3 x Vcc এর কম হয় ( যেমন Vcc=12 volt হলে ২নং পিন ভোল্ট 4 ভোল্টের কম হলে)।

রিসেট হয়ঃ ৬ নং পিনের ভোল্টেজ যদি 2/3 x Vcc এর বেশী হয় (যেমন Vcc= 12 volt হলে ৬ নং পিনের ভোল্ট 8 (৮) ভোল্টের বেশী হলে)

চিত্রে দিকে তাকালে দেখা যায় যে আগের মতো LDR, ভ্যারিয়েবল রেসিষ্টর একটা ভোল্টেজ ডিভাইডার সার্কিট তৈরী করে।

দিনের বেলাঃ LDR এর রেসিষ্ট্যান্স প্রায় শুন্য তাই সব ভোল্টেজ ড্রপ হয় ভ্যারিয়েবল রেসিষ্টরে ফলে ৬ নং পিনের ভোল্টেজ প্রায় Vcc এর কাছাকাছি চলে যায় (যা ৮ ভোল্টের বেশী) ফলে ৫৫৫ আইসি রিসেট থাকে মানে ৩ নং পিনে কোন ভোল্টেজ না থাকায় রিলে অফ থাকে।

রাতের বেলাঃ LDR এর রেজিষ্ট্যান্স, ভ্যারিয়েবল রেজিষ্ট্যান্সের তুলনায় খুব হাই। তাই সব ড্রপ ঘটে LDR এ। ফলে ২ নং পিনের ভোল্টেজ কমে প্রায় শুন্যের কাছাকাছি চলে যায়। ফলে ৫৫৫ আইসি সেট হয়ে যায় মানে ৩ নং পিনে ভোল্টেজ চলে এসে রিলে অন করে দেয়।

৫৫৫ আইসে রিলে ড্রাইভ করার মতো যথেষ্ট ভোল্টেজ আর প্রচুর কারেন্ট দিতে পারে বলে আর কোন ট্রাঞ্জিষ্টর বা অতিরিক্ত পার্টসের দরকার পড়েনা। আবার কম্পারেটরের মতো (আসলে ৫৫৫ এ দুইটা কম্পারেটর আছে) দ্রুত সিদ্ধান্ত দেয়ায় চ্যাটারিং ঘটেনা। তাই ৫৫৫ আইসি খুব সিম্পল বাট রিলায়বল সার্কিট উপহার দেয়।

লাইট সেন্সরে পরিবর্তনঃ LDR আর ভ্যারিয়েবলে রেজিষ্ট্যান্সের যায়গা বদলালেই ডার্ক সেন্সর, লাইট সেন্সরে পরিনত হবে।

ফেসবুক এ আমি :  S@G@R

1

এটি একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ। দুইটি পরিবাহী পাতের মাঝে একটি ডাই-ইলেকট্রিক অপরিবাহী পদার্থ নিয়ে এটি গঠিত। ডাই-ইলেকট্রিক এমন একটি পদার্থ যা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের প্রভাবে পোলারায়িত হতে পারে। এ পদার্থ হতে পারে কাঁচ, সিরামিক, প্লাস্টিক বা শুধুই বাতাস।
ধারক সার্কিটে বিদ্যুৎ সংরক্ষণের আধার হিসেবে কাজ করে। ক্ষেত্রবিশেষে এটা উচ্চ ও নিম্ন তরঙ্গের জন্য ছাকনি (filter)হিসেবে কাজ করে। পূর্বে একে কনডেনসার বলে ডাকা হত(এখনো ক্ষেত্রবিশেষে ডাকা হয়)। কারণ, প্রথমে বিজ্ঞানীগণ ভেবেছিলেন, ধারকে তড়িৎ একেবারে জমাট বেঁধে যায়। কিন্তু পরে জানা যায় যে, এখানে তড়িৎ জমে যায় না। শুধুমাত্র আধান সঞ্চিত হয় এবং প্রয়োজনানুযায়ী ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন ধরনের ক্যাপাসিটর সমান্তরাল পাত ধারকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধানের পৃথকীকরণ।
মাঝের ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ টি ধারকত্ব বৃদ্ধি করে

প্রকারভেদ:-

ইলেকট্রোলাইটিক ধারক (Electrolytic Capacitor)

উচ্চ ধারকত্ব-র জন্য এই ধারক সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। রেডিও-র ফিল্টার বাইপাস সার্কিটে ব্যবহৃত হলেও AC সার্কিটে ব্যবহার করা যায় না।

2

সিরামিক ধারক (Ceramic Capacitor)

এতে সিরামিক কে ডাই-ইলেক্ট্রিক হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এদের ধারকত্ব খুবই কম। মাত্র 1pF থেকে 1000pF এবং সর্বোচ্চ সহনীয় ক্ষমতা ৫০০ ভোল্ট পর্যন্ত। মূলত কাপলিং-ডিকাপলিং বাইপাস সার্কিটের এটি ব্যবহৃত হয়।

3

পরিবর্তনশীল বায়ু ধারক (Varaible Capacitor/Trimmer Capacitor)

এর মান প্রয়োজনমত বাড়ানো এবং কমানো যায়। এতে অনেকগুলো অর্ধবৃত্তাকার সমান্তরাল অ্যালুমিনিয়ামের পাত দুভাগে ভাগ করে বসান থাকে। পাতগুলোর মাঝে বায়ু ডাই-ইলেক্ট্রিক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। টিউনিং সার্কিট হিসেবে এদের ব্যবহার করা হয়।

4

ক্যাপাসিটর এর বিভিন্ন নাম্বার কোড ও তার অর্থ

ইলেকট্রক্স নিয়ে কাজ করতে গেলে ছোট বড় নানান ধরনের ক্যাপাসিটর চোখে পড়ে। ছোট মুসুর দানার মত দেখতে যেমন আছে তেমন ঢাউস আকারের ব্যাটারির মত বড় ক্যাপাসিটর ও দেখতে পাওয়া যায়। এ নিয়ে ছোট্ট মজার অভিজ্ঞতা বলতে পারি। ৯০ সালের দিকে ছোট পিএফ ক্যাপাসিটর কিনতে গেছি মারকেটে। ট্রান্সমিটার বানানোর জন্য এই এটি দরকার ছিল। তো দোকানি কে বল্লাম, ভাই ১০০ পি.এফ ক্যাপাসিটর দিন। তো দোকানি আমার দিকে হাঁ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বিশেষ ভাবের সাথে বলল “ও জিনিস নেই”! কি আর করা আমি এই দোকান সে দোকান ঘুরে এই ক্যাপাসিটর তো আর পাই না! আমি তো হতাশ যে গেল বুঝি আমার এফ.এম. ট্রান্সমিটার বানানোর সকল প্রচেষ্টা ক্যাপাসিটর এর জন্য বিফল হয়ে!! এমতাবস্থায় এক বয়স্ক দোকানি আমার ঘর্মাক্ত কলেবর দেখে, দয়া পরবশত হয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলেন। আমার ট্রান্সমিটার বানানোর কথা শুনে মুচকি হেসে বের করে দিলেন আমার কাঙ্ক্ষিত সেই ক্যাপাসিটর আর প্রত্যুত্তরে যা বললেন তা শুনে আমি নির্বাক! এগুলোকে নাকি “মুশুর দানা পি.এফ বলে আবার ক্ষেত্র বিশেষে ‘ডাইল পি.এফ ও বলা হয়’ ” (কারন মুশুর ডালের দানার মতো দেখতে কিনা)! আর সরাসরি ১০০ পিএফ বললে অনেক দোকানি চেনে না, কোড আকারে বলা লাগে যেমন ১০০ পি.এফ এর কোড 101… আবার ভোল্ট, টেম্পারেচার, টলারেন্স ইত্যাদি কোড আকারে দেয়া থাকে… (নিচের চিত্রে বিস্তারিত বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে) তাহলে বুঝতেই পারছেন ক্যাপাসিটর এর জন্য কোড কত গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার! বিশেষ করে ছোট ক্যাপাসিটর তো কোড ছাড়া বোঝাই যায় না! কিন্তু আমরা সবাই কি জানি এই ক্যাপাসিটর এর গায়ে লেখা বিভিন্ন কোডের কি অর্থ হয়? যেমন J, K কিংবা 104 এর মানেই বা কি? আসুন ছবি দেখে বুঝে নেই কোন কোডের

11

 

ফেসবুক এ আমি :  S@G@R